শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স:শেষ মুহূর্তে গরুর জন্য হাহাকার নগরের হাটগুলোতে। বিশেষ করে কর্ণফুলী পশুর হাট, এক কিলোমিটার, বিবিরহাট ও সাগরিকায় পছন্দের গরু কিনতে না পেরে অনেক ক্রেতা ফেরত গেছেন।
হাটে হাতেগোণা গরু থাকলেও দাম চড়া।
বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত কর্ণফুলী পশুর হাট, সাগরিকা, এক কিলোমিটার, মইজ্জারটেকসহ প্রায় হাট গরুশূন্য ছিলো। ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও কয়েকটি হাটে গরুর সংখ্যা ছিল খুবই কম। যে কয়েকটি গরু ছিল তা নিয়ে রীতিমতো ক্রেতাদের মাঝে ছিল কাড়াকাড়ি।
কর্ণফুলী পশুর হাটের ইজারাদার আব্দুর রহিম বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও হাটে ক্রেতা ছিলো প্রচুর, কিন্তু গরু তেমন নেই। অনেক ক্রেতা এসে গরু না পেয়ে ফেরত গেছেন। কিছু গরু ছিলো, তার দাম ছিলো বেশি।
কর্ণফুলী পশুর হাটে গরু কিনতে এসেছেন আবুল কালাম আজাদ। পেশায় শিক্ষক। তিনি বলেন, এক কিলোমটার ও সাগরিকায় গরু না পেয়ে এখানে আসি। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। যে কয়েকটা গরু আছে তাও লাখের ওপর। আমার বাজেট এক লাখের মধ্যে। জানিনা, এবার গরু কিনতে পারবো কি-না।
সাগরিকা পশুর হাটের ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গির বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গরুর সংকট ছিলো। তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে গরু আসতে শুরু করে। এখন ক্রেতারা এলে গরু কিনতে পারবেন।
গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমদিকে অনেক ব্যাপারি করোনার কারণে বিক্রি নাও হতে পারে-এই আতঙ্কে কম দামে গরু ছেড়ে দিয়েছেন। তাই শেষ মুহূর্তে গরুর সংকট দেখা দিয়েছে।
চকরিয়া থেকে দুই ট্রাকে ২০টি গরু এনেছিলেন মো. রফিক। কিন্তু কম লাভে কয়েকদিন আগে সব গরু আরেকজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন।
তিনি বলেন, ৩ দিন আগেও সব ব্যাপারি ও খামারির চেহারায় গরু বিক্রি না হওয়ার আতঙ্ক ছিলো। আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই গরু বিক্রি করে দিয়েছি। এখন শেষ মুহূর্তে দেখি গরুর প্রচুর চাহিদা।